শ্রীশ্রীগুরু-গৌরাঙ্গৌ জয়তঃ
"মায়াবাদ-উপদেশ, গৌরাঙ্গদাসের বেশ, গ্রহণ করিয়া কলিরাজ।
কৃষ্ণভক্তি ছাড়াইয়া, সম্ভোগের দাস হইয়া, দেখাইল ছায়া-প্রেমসাজ॥"
প্রভুপাদ শ্রীল ভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী গোস্বামী ঠাকুর - উপদেশামৃতের অনুবৃত্তি।
কলি-কুশলী
সংঘ-শক্তি কলির বল।
সাধু-বেশ কলির ছল।
মায়াবাদ কলির মল।
প্রবঞ্চন কলির ফল॥
দন্তে শয়তানের হাসি।
কলি আইল মায়া-কাশী।
খলরূপে ধর্ম-নাশি।
সংখ্যা-ভারে সত্য-নাশি॥
কলি গুর্ব্ববজ্ঞা-কারী।
সাধু-নিন্দক সে ভারী।
ছদ্ম-ত্যাগী-বেশ-ধারী।
হরিনামের সাথে আড়ী॥
অন্তরে গুঢ় অট্টহাস।
বচনে বিষের নিঃশ্বাস।
কলমে জালি-যুক্তি-ফাঁস।
শুনিলেই হবে সর্বনাশ॥
কলি মূরতি ধরিয়া।
পাটে জুরিল বসিয়া।
ছিন্ন হইল পরম্পরা।
খিন্ন হইল বসুন্ধরা॥
চেলা বাজায় মহাঢোল।
গাহে কলহের বোল।
দেশে ত্রাহি ত্রাহি রোল।
ধর্মাধর্ম ডামাডোল॥
কলি সদাই যায় হাটে।
বিচার বাঁটে ঘাটে-মাঠে।
ত্যাগী কহে শঠে-শাঠে।
প্রেমহীন-শুখা-কাঠে॥
হাতে ভণ্ড-দণ্ড-ভার।
কহে পাপ-ধর্মসার।
সঙ্গে উকিল-মোক্তার।
কলিরে ভাবে অবতার॥
শৌক্র-জাতিতে ব্রাহ্মণ।
জড়ায়ে ত্যাগীর বসন।
ছন্ন-তিলক অঙ্কন।
ছিন্ডিল আচার্য্য-আসন॥
এলো পরম্পরায় ছেদ।
সন্ত কৈল বহুত খেদ।
নাহি ভক্তাভক্ত ভেদ।
চেলা রাখে কলির জেদ॥
অন্তর্হিত গৌরধাম।
ভক্তি-ভক্ত-শুদ্ধনাম।
গুপ্তচরে পূর্ণ গ্রাম।
কলির নাচন উদ্দাম॥
রূপ-ভক্তিবিনোদ ধারা।
আনে ভগীরথ-বরা।
স্রোতস্বিনী খরতরা।
গাঙে কভু নাহি খরা॥
ধারা না পৈল যে রোধ।
কলি করে মহাক্রোধ।
কৈছে নিবে প্রতিশোধ?
করে সিদ্ধান্ত-বিরোধ॥
কলির কৌশল-ভন্ডামি।
কলিরে কৈছে চিনি-জানি?
গাহ সুসিদ্ধান্তবাণী।
কলির হবে মান হানি॥
কলি অতীব মৎসর।
সদা স্ব-প্রতিষ্ঠাপর।
বৈষ্ণবনিন্দায় অনড়।
শুষ্ক-ত্যাগে আড়ম্বর॥
সেই কলি-মূর্তি ত্যাগি'।
হই সাধু অনুরাগী।
হঙ সুযুক্ত-বৈরাগী।
মোরা হব প্রেম-ভাগী॥
ভাই,
ত্যজ কলি-পরম্পরা।
(কলির কথা, কলির গান,) কলিতেই সব ভরা।
জীব, করো শাস্ত্র সঙ্গ।
(ভন্ড-শন্ড গুলিয়ে দেয়,) এই তো কলির রঙ্গ॥
শ্রীপরীক্ষিত মহারাজ ও কলি