শ্রীশ্রীগুরু-গৌরাঙ্গৌ জয়তঃ
মধ্যম-অধিকারী ও বৈষ্ণব-অবৈষ্ণব বিচার
শ্রীভক্তিবিনোদ-বাণী-বৈভব হইতে উদ্ধৃত শ্রীল ভক্তিবিনোদ ঠাকুর মহাশয়ের উপদেশ -
সচ্চিদানন্দ শ্রীল ভক্তিবিনোদ ঠাকুর মহাশয়
প্রশ্ন - মধ্যমাধিকারীর কিরূপে বৈষ্ণবাপরাধ হয়?
উত্তর - “মধ্যম-বৈষ্ণব হইতেই শুদ্ধবৈষ্ণবের গণনা। তিনিই বৈষ্ণবাবৈষ্ণব-বিচারের অধিকারী; কেন না, শুদ্ধ্ববৈষ্ণব-সেবাই তাঁহার প্রয়োজন। বৈষ্ণবাবৈষ্ণব বিচার পরিত্যাগ করিলে মধ্যম বৈষ্ণবের বৈষ্ণবাপরাধ হয়।”
– 'সাধুনিন্দা', শ্রীহরিনাম চিন্তামণি
প্রশ্ন - মধ্যম-বৈষ্ণব কি বৈষ্ণবতার উচ্চাবচত্ব বা ভাল-মন্দ বিচার করিবেন না?
উত্তর - মধ্যমাধিকারী শুদ্ধভক্তের কর্ত্তব্য এই যে, শাস্ত্র যুক্তি দ্বারা ঈশ্বরে প্রেম, শুদ্ধভক্তে মৈত্রী, বালিশে কৃপা ও দ্বেষী ব্যক্তিতে উপেক্ষা করিবেন। ভক্তি-তারতম্য অনুসারে মৈত্রীর তারতম্য উপযুক্ত।…
যিনি সর্ব্বভূতে ভগবানের উপলব্ধি করেন তিনিই উত্তম বৈষ্ণব। এক প্রেম বই আর অন্য ভাব উত্তম বৈষ্ণবের হয় না।… এ অবস্থায় আর প্রেম, মৈত্রী, কৃপা ও উপেক্ষারূপ ব্যবহার-তারতম্য থাকে না। সকলই প্রেমাকার হইয়া পড়ে। তাঁহার নিকট উত্তম, মধ্যম ও কনিষ্ঠ বৈষ্ণবভেদ বা বৈষ্ণবাবৈষ্ণব ভেদ নাই। এ অবস্থা বিরল।
এখন দেখুন কনিষ্ঠ বৈষ্ণব ত বৈষ্ণব সেবাদি করেন না এবং উত্তম বৈষ্ণবের বৈষ্ণবাষ্ণৈব বিচার নাই। বৈষ্ণবসম্মান ও বৈষ্ণবসেবা কেবল মধ্যম বৈষ্ণবেরই অধিকার। মধ্যম বৈষ্ণবের পক্ষেই, একবার যিনি কৃষ্ণনাম করেন, নিরন্তর যিনি কৃষ্ণনাম করেন ও যাঁহাকে দেখিলে কৃষ্ণনাম মুখে আইসে এই ত্রিবিধ বৈষ্ণবের সেবার প্রয়োজন। বৈষ্ণব, বৈষ্ণবতর ও বৈষ্ণবতমের তারতম্য অনুসারে উপযুক্ত সেবা কর্ত্তব্য। ‘বৈষ্ণবটী ভাল কি মধ্যম - এরূপ বিচার করা উচিত নয়’, - এ কথা কেবল উত্তম-বৈষ্ণবের পক্ষে। মধ্যম-বৈষ্ণব এ কথা বলিলে অপরাধী হইবেন।
– ২৫/১৯: জৈবধর্ম্ম ৮ম অধ্যায়
প্রশ্ন - সাধু-মহিম-জ্ঞাপনার্থ অসাধুর চরিত্র আলোচনা করিলে কি বৈষ্ণবনিন্দা হয়?
উত্তর - “শিষ্য গুরুদেবকে বৈষ্ণব নির্দ্দেশ করিতে প্রার্থনা করিলে গুরুদেব শিষ্যের ও জগতের মঙ্গল-কামনায় অসদাচারীদিগকে অবৈষ্ণব বলিয়া সাধু-বৈষ্ণবের নির্দ্দেশ করিয়া থাকেন। সাধু-বৈষ্ণবের পদ আশ্রয় করিবার অভিপ্রায়ে অসৎ ধর্ম্মধ্বজী লোককে পরিত্যাগ করাতে সাধুনিন্দা বা বৈষ্ণবাপরাধ হয় না।”
– 'বৈষ্ণবনিন্দা', সজ্জনতোষণী ৫।৫
প্রশ্ন - সদুদ্দেশ্য ব্যতীত পরচর্চ্চা কি বাঞ্ছনীয়া?
উত্তর - “সদুদ্দেশ্যের সহিত যে পরদোষের আলোচনা, তাহা শাস্ত্রে নিন্দিত হয় নাই। সদুদ্দেশ্য - তিন প্রকার; যে-ব্যক্তির পাপ লইয়া আলোচনা করা যায়, তাহাতে যদি তাহার কল্যাণ উদ্দিষ্ট হয়, তবে সেই আলোচনা শুভ। জগতের মঙ্গল-সাধনের জন্য যদি পাপ আলোচনা করা যায়, তবে তাহা শুভকার্য্যের মধ্যে গণিত।”
– 'বৈষ্ণবনিন্দা', সজ্জনতোষণী ৫।৫
শ্রীল রূপ গোস্বামীপাদের শ্রীউপদেশামৃতের প্রভুপাদ শ্রীল সরস্বতী ঠাকুর-কৃত অনুবৃত্তি হইতে সংগৃহীত -
প্রভুপাদ শ্রীল ভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী গোস্বামী ঠাকুর
শ্রীচৈতন্যচরিতামৃতে ২২শ পরিচ্ছেদ: -
"শ্রদ্ধাবান্ জন হয় ভক্তি-অধিকারী।
উত্তম, মধ্যম, কনিষ্ঠ - শ্রদ্ধা-অনুসারী॥
শাস্ত্রযুক্ত্যে সুনিপুণ, দৃঢ় শ্রদ্ধা যাঁর।
উত্তম অধিকারী সেই তারয়ে সংসার॥"
শ্রীভাগবতে -
"সর্বভূতেষু যঃ পশ্যেদ্ভগবদ্ভাবমাত্মনঃ।
ভূতানি ভগবত্যাত্মন্যেষ ভাগবতোত্তমঃ॥"
(১) মহাভাগবত কৃষ্ণেতর বস্তুর প্রতি কৃষ্ণসম্বন্ধ দর্শন করিয়া সমদৃক্। তিনি মধ্যমাধিকারীর ন্যায় কৃষ্ণভজনপরায়ণ এবং কনিষ্ঠাধিকারীর ন্যায় একমাত্র নাম পরায়ণ।
(২) মধ্যমাধিকারী কৃষ্ণে প্রেম, ত্রিবিধ ভক্তে শুশ্রুষা, প্রণতি ও মানসিক আদর-বিশিষ্ট; বদ্ধজীবকে কৃষ্ণোন্মুখ করিবার জন্য সচেষ্ট ও কৃষ্ণদ্বেষীর প্রতি উপেক্ষা-পরায়ণ, সুতরাং মহাভাগবতের ন্যায় বস্তুমাত্রেই বাহ্যাভ্যন্তরের সমদৃষ্টিপর নহেন। কল্পনা করিয়া যদি তিনি মহাভাগবতের আচরণ অনুকরণ করেন, তাহাতে তাঁহার কপটতা বৃদ্ধি হইয়া অধশ্চ্যুতির সম্ভাবনা।
Śrī Śrī Guru-Gaurāṅgau Jayataḥ
Medial Ascetics and Their Perception of Saint-vs-Pseudo
Śrīla Bhakti Vinode Thakur's instructions quoted from Śrī Bhakti-Vinode-Vāṇī-Vaibhav -
Saccidānanda Śrīla Bhakti Vinode Ṭhākur Mahāśay
Question: How do the madhyama-adhikaris commit offenses against the Vaishnavas?
Answer: Madhyama-adhikaris begin to be counted as pure Vaishnavas because their life’s goal is to serve the pure Vaishnavas. If a madhyama-adhikari renounces the distinctions between Vaishnavas and non-Vaishnavas, however, he commits Vaishnava aparadh.
Question: Should a madhyama-adhikari discriminate between superior and inferior Vaishnavas?
Answer: Whether a certain Vaishnava is good or better should not be judged - only a first class Vaishnava has right to judge in such a way. If a second class Vaishnava judges in this way he will commit offence - Sriman Mahaprabhu made the inhabitants of Kulingrama understand this indirectly.
(Jaiva Dharma Chapter 8)
Question: Is it an offense against the Vaishnavas to criticize the characterisitics of nondevotees in order to reveal the Vaishnavas’ glories?
Answer: When a spiritual master is requested by his disciple to ascertain the quality of a Vaishnava, the spiritual master, with a desire to benefit his disciple and the world, discriminates between the vaishnava and the non-viashnava by declaring the sinful people non-Vaishnavas. To give up the association of sinful hypocrities with a desire to take shelter at the feet of Vaishnavas does not result in blasphemy or offensse toward the Vaishnavas.
(Sajjana Toshani 5/5)
Question: Is it desirable to criticize others without a good reason?
Answer: Discussing others’ faults with a good purpose has not been condemned in sastra. There are three kinds of good purpose. If by discussing a person’s faults the person is benefited in any way, then such discussion is auspicious. If discussing a person’s sinful activities brings about auspiciousness to the world, then it is counted as a pious activity. The third purpose is if it brings good to the speaker.
(Sajjana Toshani 5/5)
Quoted from Prabhupād Śrīla Sarasvatī Ṭhakur's Anuvṛtti of Śrīla Rūpa Gosvāmīpad's Ṣrī Upadeśāmṛtaṁ -
Prabhupād Śrīla Bhakti Siddhānta Sarasvatī Gosvāmī Ṭhakur
Śrī Caitanya Caritāmṛta 22nd Chapter: -
"śraddhābān jana haya bhakti-adhikārī
uttam, madhyam, kaniṣṭha - śraddhā-anusārī
śrāstrayuktye sunipuṇa, dṛḍha śraddhā yāñra
uttam adhikārī sei tāraye saṁsāra"
In Śrī Bhāgavata -
"sarvabhūteṣu yaḥ paśyedbhagavadbhāvamātmanaḥ
bhūtāni bhagavatyātmanyeṣa bhāgavatottamaḥ"
(1) Because the mahā-bhāgavata devotees see everything as being related to Kṛṣṇa, they see all living entities with equal vision. Like madhyama-adhikārī devotess, they are intent on performing bhajana, and like kaniṣṭha-adhikārī devotees, they are devoted to chanting harināma.
(2) Madhyama-adhikaris possess prema for Kṛṣṇa, and they respect the three levels of Vaiṣṇavas - uttama, madhyama and kaniṣṭha - by rendering service, offering praṇāma and offering respect within the mind, respectively. They always endevor to turn the living entities who are averse to Kṛṣṇa towards Him. They are indifferent to those who are inimical to Him. Therefore, they do not see all living entities with equal vision as the uttama-adhikārī mahā-bhāgavata devotees do. If they fraudulently imitate the mahā-bhāgavata devotee, they will very quickly fall down from their position.